ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী একটি সমিতির সদস্যরা। আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর নির্যাতন এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই হামলা শুরু হয়।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে যখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সমিতির সদস্যরা আগরতলার সার্কিট হাউসের কাছে গান্ধী মূর্তির সামনে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এই সমাবেশে তাদের বক্তব্য ছিল বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন এবং গত সপ্তাহে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রতিবাদ। সমাবেশ শেষে ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
তবে, স্মারকলিপি প্রদান করার পর একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সমিতির সদস্যরা হাইকমিশন অফিসে প্রবেশ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন এবং তা ছিঁড়ে ফেলে। এছাড়া ভবনের সামনে থাকা সাইনবোর্ডও ভেঙে ফেলা হয় এবং সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় খবর পেয়ে ত্রিপুরা পুলিশ ও টিএসআর (ত্রিপুরা সশস্ত্র পুলিশ) সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে এই ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সহকারী হাইকমিশন অফিস পরিদর্শন করেন এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন অফিসে এই ধরনের হামলা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ধর্মীয় উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর এই ধরনের আচরণ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, হামলার পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে ত্রিপুরা পুলিশের রিপোর্ট এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য ইতোমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে।