পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তার স্ত্রী বুশরা বিবি, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর এবং আরও ৯৩ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। গত ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে পিটিআই আহ্বানকৃত বিক্ষোভের সহিংস ঘটনায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
১৩ নভেম্বর কারাগারে থেকে ইমরান খান তার সমর্থকদের ‘চূড়ান্ত ডাক’ দিয়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভের আহ্বান জানান। তিনি পিটিআইয়ের নির্বাচনী ম্যান্ডেট পুনর্বহাল, আটক নেতাদের মুক্তি এবং ২৬তম সংবিধান সংশোধনী বাতিলের দাবি তোলেন। বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিলে, পিটিআইয়ের দাবি অনুযায়ী, সংঘর্ষে তাদের ১২ জন নিহত এবং শতাধিক গ্রেফতার হয়।
ইসলামাবাদ পুলিশ বিক্ষোভের ঘটনায় ইমরান খানসহ ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে অভিযোগ দায়ের করে। এতে পিটিআই নেতাদের পুলিশের ওপর হামলা, সহিংসতায় প্ররোচনা এবং জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
বিচারক তাহির আব্বাস সিপরা পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এফআইআরে পাকিস্তানের দণ্ডবিধি, সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং জনশৃঙ্খলা আইনের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, পিটিআই নেতারা সরকারি কর্মচারীদের কাজে লাগিয়ে সহিংসতা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
ইমরান খান এর আগেও বিভিন্ন বিক্ষোভ সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বিচারিক রিমান্ডে ছিলেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে তার সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।