পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সুইডেনের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এক খৃষ্টান যুবক পুলিশের সামনে পবিত্র কোরআন শরীফের কয়েকটি পাতায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় সারাবিশ্বের মুসলিমরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এবার তালেবান সরকার আফগানিস্তানে সুইডেনের সব ধরণের কার্যকম বন্ধ ঘোষণা করেছে।
পবিত্র কোরআনে আগুন দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান প্রশাসন। এই ঘটনার বিরোধীতা করে আফগানিস্তানে সুইডেনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঈদুল আজহার দিনে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআনে আগুন দেয় এক ইরাকি খ্রিষ্টান অভিবাসী যুবক। দেশটির আদালত তাকে কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেয়। এই ঘটনার পর নিন্দার ঝড় ওঠে বিশ্বে।
তালেবান প্রশাসন মঙ্গলবার বলেছে যে, গত মাসে সুইডেনের রাজধানীতে মসজিদের বাইরে কোরআন পোড়ানোর পর আফগানিস্তানে সুইডেনের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
তালেবান প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, 'পবিত্র কোরানের অবমাননা এবং মুসলিম বিশ্বাসের অবমাননার অনুমতি দেওয়ার পর ... আফগানিস্তানে সুইডেনের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আফগানিস্তানে সুইডেনের দূতাবাস বন্ধ রয়েছে। তবে দেশটির বেসরকারি সংস্থা আফগানিস্তানের বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গ্রামীন উন্নয়নে কাজ করছে হাজার হাজার কর্মী। তালেবানের এই নির্দেশের পর এই সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে তালেবান প্রশাসনের আদেশের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সুইডেন। এছাড়া এই আদেশের আওতায় কাদের কার্যক্রম বন্ধ করা হবে সেটিও বিস্তারিত বলেনি তালেবান।
নারী কর্মীদের উপর বিধিনিষেধের কারণে আফগানিস্তানের সাহায্য খাত ইতোমধ্যেই গুরুতরভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন বার্ষিক মানবিক পরিকল্পনার তহবিল হ্রাস প্রস্তাব করেছে। দাতা দেশগুলো সাহায্য কমিয়ে দিয়েছে।