সরকার নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছে। স্বাধীনতা বিরোধী এ দলটিকে নিষিদ্ধ করে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় এবং পরে এটি গেজেটে প্রকাশিত হয়।
গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৩ সালে উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায়ও কার্যকর করা হয়েছে। জামায়াতের ছাত্র সংগঠনের নাম ইসলামী ছাত্রশিবির।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে দলটির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সেই আপিল খারিজ করে দেয়, ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করার জন্য আইন মন্ত্রণালয় কয়েক বছর আগে একটি আইনের খসড়া তৈরি করেছে।