নিজস্ব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নির্ভর কোম্পানি এক্সএআই চালু করেছেন ইলন মাস্ক। তার লক্ষ্য, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এআই গবেষণায় একটি নতুন সীমানা তৈরি করা।
ইলন মাস্ক একসময় স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে ওপেনএআই কোম্পানি চালু করেছিলেন, যে কোম্পানি গত বছরের শেষ দিকে চ্যাটজিপিটি এনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর চ্যাটবটের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক আগেই সরে এসেছিলেন ইলন মাস্ক। কয়েকমাস আগে চ্যাটজিপিটির সাফল্যে কোম্পানিটির ‘দুর্বল’ মতাদর্শ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেই জায়গা থেকেই নিজস্ব একটি এআই নির্ভর প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এলেন তিনি।
ইলন মাস্ক হলেন তার নতুন কোম্পানি এক্সএআই’র হেড অফিস তৈরি করেছেন সান ফ্রান্সিসকোর বে এলাকায়। নতুন স্টার্টআপটি বিশিষ্ট এআই গবেষকদের নিয়ে তৈরি হয়েছে। ওপেনএআই, গুগল, মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে বাছাই করে এক্সএআই’র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গবেষণা দলটি তৈরি করা হয়েছে।
টুইটারের প্যারেন্ট কোম্পানি দ্বারা স্বতন্ত্রভাবে চালিত হবে এক্সএআই। কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বাস্তবতা বোঝার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্যই এই মিশনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। নৈতিক অনুশীলন এবং দায়িত্বশীল এআই ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করতে এক্সএআই’র দলটির নেতৃত্ব দেবেন ড্যান হেন্ড্রিক্স। সান ফ্রান্সিকোর এআই সুরক্ষাকেন্দ্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই ড্যানই।
এই কোম্পানির লক্ষ্য, এআই’র দ্রুত অগ্রগতির বিরুদ্ধে মানুষকে সতর্ক করা। সম্প্রতি কোম্পানির পক্ষ থেকে বিশ্ব নেতাদের কাছে একটি খোলা চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত অস্তিত্বগত ঝুঁকিগুলো মহামারি এবং পারমাণবিক যুদ্ধের সঙ্গে তুলনীয়।
এআই যে কতটা বিপজ্জনক তা নিয়ে অনেক আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ইলন মাস্ক। মানবতার অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে এআইকে উল্লেখ করেছেন তিনি। সেসময় তিনি এআইয়ের দ্রুত অগ্রগতিকে ‘দানবকে’ ডেকে আনার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।