সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বিদ্রোহী বাহিনী প্রবেশ করতে শুরু করেছে। টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তাদের সেনারা ইতিমধ্যেই শহরের ভেতরে ঢুকেছে। বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরজুড়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
দুইটি আলাদা সূত্রের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ প্লেনে করে দামেস্ক ত্যাগ করেছেন। তবে তার গন্তব্য সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
সিরিয়ার দুই সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রোববার (৮ ডিসেম্বর) আসাদ বিমানে করে রাজধানী ছেড়েছেন। তবে তার গন্তব্য সম্পর্কে তারা কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দামেস্কের প্রধান স্কয়ারে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছেন। কেউ গাড়িতে, কেউ পায়ে হেঁটে সেখানে এসেছেন। তারা হাত নেড়ে “মুক্তি মুক্তি” বলে স্লোগান দিচ্ছেন।
বিদ্রোহী পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা সিরিয়ার জনগণের সঙ্গে আমাদের বন্দীদের মুক্তি ও সেদনায়া কারাগারের শিকল ভাঙার যুগের সমাপ্তি উদযাপন করছি।”
রয়টার্স আরও জানিয়েছে, দামেস্কের উপকণ্ঠে অবস্থিত সেদনায়া কারাগার একটি বিশাল সামরিক কারাগার। সেখানে সিরিয়ার সরকার হাজার হাজার মানুষকে বন্দি করে রেখেছিল।
এর আগের দিন, বিদ্রোহীরা হোমস শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। ওই সময়েই বোঝা গিয়েছিল যে বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসন কঠিন সংকটে পড়েছে।
দামেস্কের দুটি আলাদা এলাকা থেকে রোববার স্থানীয় বাসিন্দারা তীব্র গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া এবং ইরান দীর্ঘদিন ধরে বাশার আল-আসাদ সরকারকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল। বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন। এর আগে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ ২৯ বছর দেশটি শাসন করেন।