বিশ্বে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে মুসলিম ও খ্রিস্টান নেই। কারণ বর্তমান বিশ্বে খ্রিস্টানদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারপর মুসলিম। তবে ইউরোপের গবেষকরা বলছেন যে হারে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে তাতে আগামী ৫০ বছরে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ইসলামী ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা হবে।
তবে পৃথিবীর সব দেশে এই দুই ধর্মের মানুষের দেখা মিলে। তবে হাতে গোনা মাত্র তিনটি দেশে এখনো গড়ে উঠেনি কোনো মসজিদ। কারণ এই তিন দেশের সরকার মসজিদ নির্মাণে অনুমতি দেয়নি।
এই তিন দেশে অনেক মুসলিমের বসবাস করে। অথচ, দেশে তিনটিতে নেই একটিও মসজিদ। বহুবার তারা আবেদন করেছেন, তাদের নামাজের জন্য এলাকায় একটি মসজিদ হোক। কিন্তু কার্যত কিছু হয়নি। যে তিন দেশে এমন ঘটেছে?
পৃথিবীর সর্বত্র মুসলিম আর খ্রিস্টানদের দেখা মেলে। আর যখনই কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় তাদের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় এসে পৌঁছায়, তখনই তারা সমবেতভাবে ধর্মীয় আচার-আচরণ পালনের জন্য একটি ধর্মস্থানের কথা ভাবেন। কিন্তু এই কয়েকটি জায়গায় মুসলিমেরা কোনো দিনই তাদের জন্য কোনো মসজিদের ব্যবস্থা করতে পারেননি।
এই ধরনের দেশের তালিকায় একেবারে উপরের দিকেই রয়েছে স্লোভাকিয়া। চেকোস্লোভাকিয়া থেকে ভেঙে বেরিয়েছে স্লোভাকিয়া। এখানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অন্তত ৫,০০০। দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় তা ০.১ শতাংশ। এখানকার জনগোষ্ঠী বহুবার মসজিদের দাবি তুলেছে। এই নিয়ে ২০০০ সাল নাগাদ এখানে বহু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে ২০১৬ সালে সেখানে একটি আইন পাস হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, এ দেশের কোনো ধর্মীয় পরিচয় নির্দিষ্ট করা হবে না।
এরকম আরেকটি দেশ হলো এস্তোনিয়া। ২০১১ সালের জনগণনায় জানা গিয়েছিল, এদেশে প্রায় ১৫০৮ জন মুসলিমের বাস। সংখ্যাটা সারা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ০.১৪ শতাংশ। অথচ এদেশে আপনি একটিও মসজিদ দেখতে পাবেন না! তবে এদেশে ফ্ল্যাটে নামাজ পড়ার প্রচলন হয়েছে।
আর একটি দেশ রয়েছে মোনাকো। এখানেও বিপুলসংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠীর বাস। কিন্তু এখানেও কোনো মসজিদ নেই। সূত্র : জি নিউজ