Search
Close this search box.

মার্কিন প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডেভিড হাসের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়াসহ একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল কক্সবাজার পৌঁছেছেন।

বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে বেসরকারি একটি ফ্লাইটে প্রতিনিধি দল কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় ইউএনএইচসিআর, আইএমও এবং আরআরআরসি অফিসের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের স্বাগত জানান।

১০ সদস্যরে মার্কিন প্রতিনিধি দলে আছেন, মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে উজরা জেয়া ও দক্ষিণ মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার এশিয়া দপ্তরের উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলী কৌর, বিশেষ সহকারী ব্রায়ান ওয়াকলি, স্টাফ সহকারী ক্যাথরিন হেরেটিক, সিনিয়র মানবিক উপদেষ্টা লিন্ডসে হার্নিশ, মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স আমেনা ইসলাম, মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রবার্ট রবেইরো ও সহকারী আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জান-লিন্ডেন মিলান।

সফরকালে প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ৯, ১১, ১৮, ১ ইস্ট ও উখিয়া বিশেষায়িত হাসপাতাল, আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন ও ইউএনএইচসিআর এবং আরআরআরসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়ার কথা আছে। এরপর বিকেলেই তারা কক্সবাজার ত্যাগ করবেন।

প্রতিনিধিদলটি দিল্লিতে তিন দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে পৌঁছায়। দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশে সফরের আগে উজরা জেয়া যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন।

মার্কিন প্রতিনিধি দলটি বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতের কথা আছে। পাশাপাশি গণমাধ্যম প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, নির্বাচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে মার্কিন প্রতিনিধিদল।

আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে বৈঠক শেষে টুইট বার্তায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী।