দেশটির রাজধানী বেলগ্রেডে শিক্ষার্থীরা সোমবার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করেন। তাদের এই আন্দোলনে যোগ দেন কৃষকরাও, যারা বিশাল ট্রাক্টর নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভের ফলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির হয়ে যায় এবং প্রধানমন্ত্রীর ওপর পদত্যাগের চাপ আরও বাড়ে।
আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর, যখন নোভি সাদ শহরের একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে পড়ে এবং এতে ১৫ জন প্রাণ হারান। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, স্টেশন নির্মাণে দুর্নীতির কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, যদি প্রকল্পে দুর্নীতি না হতো, তাহলে এত মানুষের প্রাণহানি এড়ানো যেত।
নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন দিনে দিনে তীব্রতর হয়। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা প্রতিদিনই ঘটলেও আন্দোলন থামেনি। বরং এটি ১০০টিরও বেশি শহরে ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ এতে সমর্থন জানান।
গতকাল, রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র অটোকোমান্ডা জংশন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। কৃষকরা তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। এই বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটেই সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুকিক আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা এবং সরকারে বড় ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা দেন।
ছাত্রদের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দিয়েছে, যা দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।