Search
Close this search box.

আইসিসির লাভের সিংহভাগই ভারতের পকেটে

বিশ্বকাপের আয়োজনের আগে বড় ধরণের সুসংবাদ পাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসির মোট লভ্যাংশের ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ বুঝে পাচ্ছে তারা। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে আইসিসির বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবার কথা রয়েছে। বেশ আগে থেকেই এই বিষয়ে সমালোচনা হলেও নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছে না ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।  

আইসিসির লভ্যাংশ বন্টনের এই হিসেবে ভারত পাবে প্রায় ২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকারও বেশি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড পাবেন ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের কাছে যাবে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। বন্টনের হিসেবে বাংলাদেশ পাবে ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ!

তবে অন্যান্য বোর্ডের সাথে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এমন বিস্তর ব্যবধানের কারণও ব্যাখ্যা করেছে আইসিসি। সংস্থাটির ভাষ্য, এই বন্টনের ক্ষেত্রে কাউকেই বাড়তি সুবিধা দেয়া হচ্ছেনা। অনেকগুলো বিষয়কে কেন্দ্র করেই বেশি ভাগ পাচ্ছে ভারত। 

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে আইসিসির এক প্রতিনিধি জানান, কোন দেশের ক্রিকেট বোর্ড কত টাকা পাবে তা নির্ভর করে তিনটি বিষয়ের উপর। ১) আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশের অবস্থান। ২) আইসিসি প্রতিযোগিতায় সেই দেশের ফলাফল। ৩) সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন থেকে সেই দেশ কত টাকা আয় করছে। 

মূলত ভারতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এবং বড় ধরণের স্পন্সরশিপের কারণে অন্য যেকোন বোর্ডের তুলনায় লভ্যাংশের ভাগ বেশি পাচ্ছে দেশটি। আইসিসির ভাষ্য,  এবছর অন্য সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডও আগের চেয়ে বেশি অর্থ পাবে। 

ডারবানে আইসিসির এবারের বৈঠকের মূল বিষয়, সংস্থার আর্থিক লভ্যাংশের বিতরণ। বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে যোগ দেবেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। থাকবেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান জাকা আশরাফও। শুরু থেকেই যিনি ভারতের এমন লভ্যাংশ প্রাপ্তি নিয়ে সমালোচনা করে আসছিলেন। 

পাকিস্তান ছাড়াও আইসিসির এমন লভ্যাংশ বিতরণের সমালোচনা করেছে সহযোগী দেশগুলো। তাদের মতে একটি দেশের এত বড় অংশ নিতে নেয়ার কারণে বাকি দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, মোট লাভের ৮৮ দশমিক ৮১ শতাংশ পাবে ১২ টি পূর্ণ সদস্য। বাকি ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ পাবে ৮২ টি সহযোগী দেশ।