Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৭৯

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৯। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা ফ্লাইটটি অবতরণের সময় পাখির সঙ্গে সংঘর্ষে ল্যান্ডিং গিয়ারে জটিলতা দেখা দেয়। ফলে চাকা খোলার ব্যর্থ চেষ্টার পর উড়োজাহাজটি রানওয়েতে ছেঁচড়ে গিয়ে দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিগোলকে পরিণত হয়।

দুর্ঘটনার সময় ফ্লাইটটিতে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন। এখন পর্যন্ত মাত্র দুজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের মধ্যে অধিকাংশই ঘটনাস্থলেই নিহত হন। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে বলে জানিয়েছেন মুয়ান ফায়ার সার্ভিস প্রধান লি জুং-হিউন। তিনি বলেন, “উড়োজাহাজটির লেজের সামান্য অংশ ছাড়া বাকি সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটি চাকা ছাড়াই রানওয়ে দিয়ে অনেক দূর ছেঁচড়ে যায় এবং দেয়ালে আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরিত হয়। ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জেজু এয়ার এক বিবৃতিতে বলেছে, “মুয়ান বিমানবন্দরের দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের কাছে আমরা ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা সব ধরনের ত্রাণ ও সহায়তা প্রদান করব।”

দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সুং-মক দুর্ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন। তিনি দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জেজু এয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম শীর্ষ বাজেট এয়ারলাইন। এই প্রথম তাদের কোনো উড়োজাহাজ প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার শিকার হলো। দুর্ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।