ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বেপরোয়া গতির একটি বাসের ধাক্কায় ছয়জন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর পালিয়ে থাকা বাসচালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর চালক আত্মগোপনে ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী, টোল প্লাজার কাছে একটি মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। দ্রুতগামী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একসঙ্গে তিনটি যানবাহনকে ধাক্কা দেয়, যা সেগুলোকে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান এবং একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহতদের পরিচয়:
১. আমেনা আক্তার (৪০)
২.ইসরাত জাহান (২৪)
৩. রিহা মনি (১১)
৪.আইয়াজ হোসেন (২)
৫. রেশমা আক্তার (২৬)
৬. মো. আবদুল্লাহ (৭)
আহতদের মধ্যে আছেন:
১. নুর আলম (৪২)
২. ফাহমিদা আক্তার (১৭)
৩.হাবিবুর রহমান (৩৮)
৪. সুমন মিয়া (৪২)
দুর্ঘটনার সময় টোল প্লাজার সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, দ্রুতগামী বাসটি হঠাৎ গতি বাড়িয়ে মোটরসাইকেল ও গাড়িগুলোকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান। অনেকে এটিকে পরিকল্পিত মনে করছেন, আবার কেউ চালকের দায়িত্বহীনতাকেই দায়ী করেছেন।
দুর্ঘটনার পর আহতদের দ্রুত পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুরুতর আহত রেশমাকে পরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে পাঠানো হয়, তবে বিকেলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
র্যাব জানিয়েছে, চালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে।